Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দির
label.image.title
Institute Type

Head Of The Institute
তেজেন্দ্র নাথ মন্ডল
Designation
সভাপতি
Mobile
০১৭২৩৫৩২৬৫৪
Address
শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব ৪৫ কিলোমিটার।রাস্তার নাম ।সাতক্ষীরা-যশোর সড়ক, কলারোয়া-সোনাবাড়ীয়া সড়কস্পটে পৌছানোর ব্যয় ।৬০ টাকাভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় বাস, বেবী টেক্সি রিকসা, ভ্যান।
History

 

কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি জনপদ সোনাবাড়িয়া। ২শ’ বছর আগের গোটা সোনাবাড়িয়াজুড়ে জমিদার শাসনের নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। এমনই এক প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দির। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু টেরাকোটা ফলক খচিত শ্যামসুন্দর মন্দিরটি আজও দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্যের অনুরূপ নিদর্শন হয়ে। এই ঐতিহাসিক মঠ মন্দিরটি এখনই সংস্কার করা না হলে এর জরাজীর্ণ অবশিষ্ট অংশটুকুও বিলীন হয়ে যাবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ১২০৮ সালে রানী রাশমনি এই মঠ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া মঠ মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে। সোনাবাড়িয়ার এক বেলগাছ তলায় রাতের আঁধারে মাঠি ফুঁড়ে বের হয় একাধিক শিব মূর্তি। রানী রাশমনি স্বপ্নে আদিষ্ঠ হয়ে স্নানের সময় ভাসমান পাথরের শিবমূর্তি উদ্ধার করে এ মঠ মন্দির নির্মাণ করেন। বিশালাকৃতির এই মঠ মন্দিরটি ছোট ছোট পাতলা ইট ও টেরাকোটা ফলক দিয়ে তৈরি করা হয়। এর সবখানেই শোভা পাচ্ছে নজরকাড়া কারুকাজ। আম, কাঠাল, নারিকেল, মেহগনি, সেগুন ও দেবদারু গাছের বাগান দিয়ে ঘেরা ১৫ একর জমির ওপর অবস্থিত মন্দিরটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট চওড়া। মন্দিরের সামনে একটি বড় পুকুর। মন্দিরের পূর্ব পাশ দিয়ে উত্তর- দক্ষিণে লম্বা ১২টি ঘরে ছিল ১২টি শিবলিঙ্গ। এছাড়াও মূল মঠ মন্দিরের দোতলায় ঝুলন্ত দোলনায় থাকত সোনার রাধাকৃষ্ণ মূর্তি।

 

মন্দিরের পুকুরের পাশ দিয়ে ঢুকতেই ছিল বড় তোরণ। তার ওপর ছিল নহবতখানা। প্রবীণদের কাছ থেকে এ মঠ মন্দির সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে বৌদ্ধধর্ম প্রচারকালে গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা এখানে মঠ মন্দির তৈরি করে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারে সুবিধা করতে না পেরে বুদ্ধের অনুসারীরা সোনাবাড়িয়া ত্যাগ করে। এরপর মঠ মন্দিরটি কিছুকাল পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। পরে মঠ মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এটিকে মন্দিরে রূপান্তরিত করে।